এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :
বিএনপির চেয়ারর্পাসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে ঘিরে নাশকতা চেষ্ঠার অভিযোগে চকরিয়ায় বিএনপির অন্তত ৩৮জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ওই মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামিকে গ্রেফতারপুর্বক জেলহাজতে পাঠিয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারী থানার এসআই গাজী মাঈন উদ্দিন বাদি হয়ে মামলাটি রুজু করেছেন। মামলার এজাহারে ১৩জনের নাম উল্লেখ্য ও আরো ২০-২৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ইসলামনগর এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে মহিউদ্দিন সৈকত, ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের হাজিয়ান এলাকার আহমুদুর রহমানের ছেলে আবদুল মোমেন, কামাল উদ্দিনের ছেলে হেফাজ উদ্দিন, পৌরসভার থানা রাস্তার মাথা এলাকার মৃত সুলতান আহমদের ছেলে জয়নাল আবেদিন, পৌরসভার ফুলতলা এলাকার মৃত আবদুল গনির ছেলে আবদুল হামিদ, ঘনশ্যামবাজার এলাকার আবদুল নবীর ছেলে এমরান সালেহ, পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিন লক্ষ্যারচর তরছঘাট এলাকার নুরুল হকের ছেলে শাহজাহান মনির, কাকারা পুলেরছড়া এলাকার ভুতাইয়ার ছেলে মিনহাজ, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের মাসুদ আহমদের ছেলে কফিল মৌলভী, খুটাখালী ইউনিয়নের খোবাইব আজম, মো.আনিছ, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের খন্দকারপাড়ার আকবর আহমদের ছেলে আসহাব উদ্দিন। তাদের মধ্যে প্রথম তিনজনকে পুলিশ ঘটনারদিন ৬ ফেব্রুয়ারী চকরিয়া শহরের চিরিঙ্গা জনতা মার্কেট থেকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজাহারে বাদি চকরিয়া থানার এসআই গাজী মাঈন উদ্দিন দাবি করেন, বিএনপির চেয়ারর্পাসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে ঘিরে নাশকতার উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন এজাহারনামীয় ও পলাতক দেখানো বিএনপির নেতাকর্মীরা চকরিয়া শহরের চিরিঙ্গা জনতা মার্কেট পয়েন্টে জড়ো হয়। ওইসময় তাঁরা কয়েকটি গাড়িতে হামলা করে। ঘটনার পর বাদি ও থানা পুলিশের সঙ্গিয়দল তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে গাড়ির ভাংচুর করা কিছু কাঁেচর টুকরো উদ্ধার করেন। ওইসময় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেন। তবে পুলিশ যাওয়ার হামলার শিকার গাড়ি গুলো ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে বাদি মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করেন।
পাঠকের মতামত: